ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে ১৭ শিশুর জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে ১৭ শিশুর জন্ম

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৪৮ ঘণ্টায় নরমাল ডেলিভারিতে ১৭ শিশুর জন্ম হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রসূতি মা ও শিশুরা সবাই সুস্থ আছেন। 

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডে মায়েরা নরমাল ডেলিভারিতে সন্তানদের জন্ম দেন। নবজাতকদের মধ্যে ৯ জন মেয়ে ও ৮ জন ছেলে।

আরো পড়ুন:

প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরা চৌগাছ হাসপতাল। ২০০৪ সাল থেকে হাসপাতালটি মোট ১৩ বার প্রসূতি সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরার স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছে।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি) হয়েছে ৭৩ জন প্রসূতির। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে ১৭ জন প্রসূতির। হাসপাতালটিতে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৪১জন প্রসূতির। আর বৃহস্পতি ও শনিবার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে মাত্র ৯ জন প্রসূতির। 

হাসপতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, আগস্ট মাসে হাসপাতালটিতে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি হয় ১২৩ জনের এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় ৮৮ জন প্রসূতির।

হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কর্তব্যরত মিডওয়াইফ মোসা. তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রসূতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তাদের প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার কারণেই হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি বেড়েছে।’

চৌগাছা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল এমরান বলেন, ‘আমাদের মিডওয়াইফরা হাসপাতালে কোনো প্রসূতি এলে তাদের শারিরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলেন। প্রসূতিদের নরমাল ডেলিভারির জন্য উৎসাহ দেন। এজন্য হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে।’

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘কিছুদিন ধরে দেখছিলাম হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমারা চিকিৎসক, সেবিকা, মিডওয়াইফ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে  মিটিং করি। এ বিষয়ে প্রসূতিদের কাউন্সিলিং করানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আমাদের এএনসি কর্ণারে (প্রসব পূর্ববর্তী সেবাকেন্দ্র) সেবা নিতে আসা সব প্রসূতির মোবাইল নম্বর রাখা হয়। প্রসবের দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে প্রসূতিরা হাসপাতালে না এলে তাদের ফোন করে হাসপাতালে আনা হয়। মূলত আমাদের টিম ওয়ার্কের ফসল ৪৮ ঘণ্টায় ১৭ শিশুর স্বাভাবিক জন্ম।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সব নবজাতক এবং প্রসূতিরা সুস্থ আছেন। তারা নিজেদের বাড়িতে চলে গেছেন।’

রিটন/ মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়