কোনো মহল পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করতে পারে: দীপংকর

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার জন্য কোনো কোনো মহল চেষ্টা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আনসার বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে এবং বিজিবিকেও ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা আশা করি আপনারা সেই ভূমিকা পালন করবেন।’ 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে রাঙামাটি জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘আমরা যারা সাধারণ নাগরিক আছি আমাদের ভূমিকা থাকবে, সমাজে যাতে শান্তিশৃংখলা বিরাজ থাকে। যাতে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে আগের তুলনায় এখন চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম অনেকাংশে কমেছে। শতভাগ কমেছে আমরা বলবো না। পাহাড়ে অপহরণ, গুম কম হওয়ার পেছনে আনসার ভিডিপিরও ভূমিকা আছ। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে জেলা আনসার সমাবেশে মুখ্য আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক সাইফুল্লাহ রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যানট ফয়জুল বারী। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লংগদু আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. আজিম উদ্দিন, বরকলের হাজাছড়া ৭ আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোল্লা আবু সাইদ, কাউখালীর ঘাগড়া ২৬ আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. জহুরুল ইসলাম ও সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট আব্দুল মোন্তাকিম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,  শান্তি চুক্তির পরে সেনাবিাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির  সঙ্গে আনসার বাহিনীও একসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নিবাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আনসার বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাহাড়ের শান্তি বজায় থাকলে এখানকার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। 

সমাবেশে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।