বালুর নিচে স্ত্রীর লাশ, পালাতক স্বামী গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জে প্রবাসী স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ নির্মাণাধীন ভবনের বালুর নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

গ্রেপ্তার মো. বাবুল (৩৮) হরিরামপুর উপজেলার দরিকান্দি এলাকার শেখ কাশেম আলীর ছেলে। নিহত রোকসানা জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা নয়াবাড়ী এলাকার মৃত ছইজুদ্দীনের মেয়ে।  

পুলিশ জানায়, বাবুল তিন বছর আগে রোকসানাকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পরেই সৌদি আরবে চলে যান রোকসানা। বিদেশ থেকে নিয়মিতভাবে দেশে স্বামী বাবুলের কাছে টাকা পাঠাতেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে শানবান্দা এলাকায় জমি কিনে একতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন বাবুল। চলতি মাসের ৬ তারিখে ছুটিতে দেশে আসেন রোকসানা। পরে সাভারের একটি ভাড়া বাসায় স্বামী বাবুলকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। গত ১৩ অক্টোবর শানবান্দা গ্রামের নির্মাণাধীন বাড়িতে আসেন রোকসানা-বাবুল দম্পত্তি। ওইদিন রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোকসানার সঙ্গে বাবুলের কথাকাটি হয়। ভোরের দিকে রোকসানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবুল। এরপর নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষের মেঝের বালুর মধ্যে লাশ পুঁতে রেখে পালিয়ে যান বাবুল।

গত মঙ্গলবার দুর্গন্ধ বের হলে আশেপাশের লোকজন ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় তারা একটি কক্ষের মেঝের বালু সরালে নিহত ওই নারীর হাত বেড়িয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের ভাই ফজল খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে তার বোন রোকসানার লাশ শনাক্ত করেন।   

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, এ ঘটনায় মামলার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনার হাদিস পার্কের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনের শিকার হন প্রবাসী রোকসানা। নিজ বাড়িতে স্ত্রী রোকসানাকে খুন করে তার লাশ পাশের রুমের মেঝেতে পুতে রেখে পালিয়ে যান স্বামী বাবুল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে বাবুলকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।