ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পুরোনো রাবিশ দিয়ে কোটি টাকার সড়ক নির্মাণের অভিযোগ

পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ০৯:৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
পুরোনো রাবিশ দিয়ে কোটি টাকার সড়ক নির্মাণের অভিযোগ

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠি) পুরোনো রাবিশ দিয়ে কোটি টাকার সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডির আইআরআইডিপি-৩ প্রজেক্টের আওতায় ইন্দারহাট-জিলবাড়ী-বিন্নাবাজার সড়কটি তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক নির্মাণের কাজ পেয়েছে ভান্ডারিয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের মালিকাধীন ইএফটি-ইটিসিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর সাব ঠিকাদার হিসেবে করছেন বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাঈদ।

অভিযোগ রয়েছে, নতুন নির্মাণ সামগ্রীর বদলে পুরোনো রাবিশ দিয়ে কাজ করছেন সাব ঠিকাদার। কোটি টাকা বাজেটের সড়কে এত বড় অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবসী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সড়ক নির্মাণে সাব ঠিকাদারের কাজ পেয়েছেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা বলে প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। সড়কে নতুন ইট ও রাবিশের পরিবর্তে পুরোনো সব কিছু দিয়ে কাজ করেছেন।

স্থানীয় সাংবাদিক দেবাশীষ মন্ডল বলেন, পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়ার উপজেলার জলিল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পুরোনো বিল্ডিংয়ের (নিম্নমানের) ইট ও ছাদের ঢালাই কিনে ওই সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

পুরোনো ছাদ বিক্রেতা ইসরাফিল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের রাবিশগুলো কিনে নিয়ে গেছেন। তবে সেগুলো কোন কাজে বা কোথায় ব্যবহার করেছেন তা জানি না।

অভিযোগের বিষয়ে বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, কিছু মানুষ না বুঝেই মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এই ইউনিয়নে আগে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিল বলে কোনও কাজের অগ্রগতি হয়নি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমানে এই এলাকায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগের দুই কিলোমিটার সড়কের কাজে পুরোনো সলবেস্ট মালপত্র বাবদ ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২৬৮ টাকা ধরা হয়েছে সেটি ব্যবহার করছি। সড়কটি যাতে ভালো ও মজবুত হয় সেই চেষ্টাই করছি।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, মৌখিক অভিযোগর ভিত্তিতে সাব ঠিকাদারকে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে পুনরায় ঠিক করে কাজ করতে বলা হয়েছে।

তাওহিদুল/কেআই

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়