ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

শেরপুরে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ইলিয়াস ও রাজা

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২২, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩  
শেরপুরে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ইলিয়াস ও রাজা

মিজানুর রহমান রাজা ও ইলিয়াস উদ্দিন

চলমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরে বাতিল হওয়া দুই প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, শেরপুর-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন ও শেরপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা। তারা দুজনেই তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এই আদেশের কপি এখনও পৌঁছেনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে প্রার্থিতা ফেরৎ পান শেরপুর-১ (সদর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন। অর্থ ঋণ সংক্রান্ত অভিযোগে রিটানিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, উচ্চ আদালত তার প্রার্থিতা বাতিল করেন। ওই বাতিলের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। 

এদিকে জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদুল হক মনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ইতোমধ্যে প্রচারণা করেছেন। আদালতের নির্দেশনা কার্যকরী হলেই এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবেন দুই জন। এই মাহমুদুল হক মনির সমর্থকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাদের ধারণা, ইলিয়াস উদ্দিন মনোনয়ন পেলে হয়ত মনিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আসতে পারে দলের কেন্দ্র থেকে। ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘রায় আমার পক্ষে হয়েছে। আদেশের কপি কাল আপনাদের দেওয়া হবে। আমি নির্বাচনে লড়বো। জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।’

অপর দিকে, উচ্চ আদালতের আপিল ডিভিশন থেকে মনোনয়ন ফেরৎ পেয়েছেন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতি) আসনের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রাথী মিজানুর রহমান রাজা। আজ দুপুরে প্রার্থিতা ফেরৎ পান তিনি। শতকরা এক শতাংশ সমর্থিত ভোটার স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতায় রাজা মনোনয়ন বঞ্চিত হন। 

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান রাজা বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। দলীয় প্রধানের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের এই প্রতিযোগিতায় আমি কাল থেকে শরীক হচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে কাল থেকে ভোট প্রার্থনা করবো। ৯০ দশক থেকে শুরু করে আজ অবধি আওয়ামী লীগের জন্য জেল জুলুমের প্রতিদান দেবে আমার এলাকার জনগণ।’ রাজার মনোনয়ন ফেরতের খবর পেয়ে তার এলাকায় কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমাদের কাছে তারা যখন আদেশের কপি জমা দেবে পরবর্তীতে আমরা এই কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠাব। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের নিশ্চিত করার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তারা আসার সঙ্গে সঙ্গে যদি বলে আমাদের প্রতীক দেন, তবে সেই সুযোগ এখন আর নেই। কারণ সিদ্ধান্তটা নির্বাচন কমিশনের আইন সেল নেবে। আইন সেল যখন আমাদের নিশ্চিত করবে তখন প্রতীকসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হবে।’ 

জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত এমন তথ্য পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে আমরা আদেশে কী বলা আছে সেটা দেখব। যেহেতু প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। তাই নির্বাচন কমিশনে আমরা তাৎক্ষণিক আদেশের কপি পাঠাব। নির্বাচন কমিশন আমাদের যে নির্দেশনা দেবে আমরা সেটাই করব।’ 

তারিকুল/বকুল 

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়