ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলায় ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩  
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলায় ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

রাহেনুল হক

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহেনুল হকের এক সমর্থককে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার পর চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নাজির হোসেনের বড় ভাই মো. উজির আলী। এতে সাত জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা সবাই নৌকার কর্মী। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, চারঘাটের সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আদিল আলী (৩৬), চারঘাট পৌর বাস্তুহারা লীগের সভাপতি ও চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম সরকার (৪০), চারঘাটের আস্করপুর সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল সরকার (৩৫), বথুয়া কদমতলা গ্রামের মো. হাসান আলী (২৮), সাদিপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে মো. ফিরোজ আলী (৩৫), গৌড়শহরপুরের মৃত আবু তালেবের ছেলে ফয়সাল হোসেন ওরফে ডন (৩৫) ও আস্করপুরের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. বাপ্পি (২৫)। এর মধ্যে ফয়সাল ও বাপ্পিকে পুলিশ রাতেই গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের কর্মী নাজির হোসেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চারঘাটের আস্করপুর গ্রামের সারদা বাজারে নৌকা প্রার্থীর অফিসের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তাঁকে ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে পথরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে মানা করলে ইউপি সদস্য আদিল আলীর হুকুমে অন্য আসামিরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে মারতে নৌকা প্রার্থীর অফিসের ভেতরে নিয়ে যায়। আদিল আলী ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ভাইয়ের কপালের বাঁ পাশে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁর বাঁ হাতের পাঁচ আঙুলে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। পরে নাজিরের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার মাথায় ৬টি সেলাই লেগেছে।

মামলার অন্যতম আসামি অভিযুক্ত শামীম সরকার বলেন, তিনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাঁর ওখানে এ ধরনের কিছু ঘটেনি। যদি হঠকারী কেউ এটা করে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, রাতেই মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়