গাইবান্ধায় নৌকার ছাড়া ২ আসনেও স্বতন্ত্র জয়ী, ৩টিতে নৌকা

গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের তিনটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা এবং দুটিতে নৌকা বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এদিকে, আসন সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া দুই প্রার্থী গাইবান্ধা-১ ও গাইবান্ধা-২ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। 

গাইবান্ধা-৩, গাইবান্ধা-৪ ও গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে যারা নির্বাচিত হলেন
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন: স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আব্দুল্লা নাহিদ নীগার ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হজার ৪৯১ ভোট।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসন: স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ট্রাক প্রতীকে শাহ্ সরোয়ার কবীর ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মো. আব্দুর রশীদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর) আসন: আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ঈগল প্রতীকে মফিজুল হক সরকার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট। 

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন: আওয়ামীলীগ মনোনীত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ১ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ট্রাক প্রতীকে প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট।

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ট্রাক প্রতীকে ফারজানা রাব্বী বুবলী পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।