ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

খুলনা-৪ ও ৫ আসনে সহিংসতার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০০, ৯ জানুয়ারি ২০২৪  
খুলনা-৪ ও ৫ আসনে সহিংসতার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী খুলনা-৪ ও ৫ আসনে সহিংসতার অভিযোগ করেছেন এ দুটি আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত দুটি সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন এবং খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এ অভিযোগ করেন। 

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে দায়ী করেছেন তারা।

দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে শেখ আকরাম হোসেন বলেন, ‘খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদীয় আসনে আমি মাত্র ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। পরাজিত হওয়ার পর থেকে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের গুণ্ডাবাহিনী আমার এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, লুটপাট, দোকানপাট বন্ধ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।’ এ সময় তিনি আহত কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম-পরিচয় এবং তাদের ওপর মামলার বিষয়ে বর্ণনা দেন।

ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিজয়ী সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘পরাজিত হয়ে শেখ আকরাম হোসেন অনেক কিছুই বলছেন। তার অভিযোগ সবই মিথ্যা। কর্মীদের বোঝানোর জন্যই তিনি এ সব কথা বলছেন। খুলনা-৫ আসনের পরিবেশ খুব শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আপনারাও খোঁজ নিতে পারেন।’

দুপুর দেড়টায় একইস্থানে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৪ আসনের কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা অভিযোগ করে বলেন, ‘এ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় সহিংসতা ঘটাচ্ছে। তেরখাদা উপজেলার ৩ নম্বর ছাগলাদাহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম দীন ইসলামের নেতৃত্বে আমার কর্মী এসকেন শেখকে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আজগড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমার বাইরে বাদশা মল্লিক ও তার গুণ্ডা বাহিনী কেটলির ভোটার লিস্ট সরবরাহকারী শিল্পী, তার ছেলে ও তার বাবা মো. আব্দুল কুদ্দুস তালুকদারকে মারধর ও অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয়। চেয়ার-টেবিল এবং কাজের সরঞ্জাম-তথা কাগজ কলম, ভোটার স্লিপ ও ভোটার লিস্ট সব ছুঁড়ে ফেলে দেয়।’ এ সময় তিনি আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীর ওপর হামলা বিষয়ে বর্ণনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সদ্যবিজয়ী সংসদ সদস্য সালাম মূশের্দীকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
 

নুরুজ্জামান/বকুল

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়