ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৬ সদস্য আটক

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৬ সদস্য আটক

পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে কিছু টিকিট, মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ হয়। র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এতথ্য জানান।

অন্য আটককৃতরা হলেন- চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও আরিফুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান (২৮), পূর্বটিয়ারতলা গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান (২২)।

মেজর এহতেশামুল হক বলেন, চাটমোহর রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করছিল চক্রটি। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি আসনের টিকিট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকিট বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা র‌্যাবকে জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর স্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস এবং খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করছিলেন। আটককৃতদের চাটমোহর থানায় সোপর্দ করা হবে।

যেভাবে টিকিট কালোবাজারি করতো তারা: আটককৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মেজর এহতেশামুল হক খান বলেন, আটককৃতরা প্রথমে রেল স্টেশনের কাউন্টারে কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশা চালক ও দিনমজুরদের টাকার লোভ দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে যারা টিকিট সংগ্রহ করে দেন তাদের প্রত্যেককে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো। 

এছাড়াও, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকেট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কাটার সময় প্রদেয় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে ৪টি করে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতো। তারা ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্য ছুটির দিনে সংরক্ষিত এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে, এমনকি সার্ভার ডাউন করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতো। 

আটককৃত আরিফুল, আনিছুর, জলিল, জাহিদুল ও হাবিবদের প্রধান কাজ ছিল অনলাইন টিকিট প্রত্যাশিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দর করে টিকিটগুলো অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা।

শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়