কক্সবাজারে অপহৃত যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ 

কক্সবাজারের রামু থেকে অপহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক জাহেদ হোসাইনকে (২৫) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালীর গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। চার দিন আগে শহরের কলাতলী থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই সৈয়দ হোসাইন।  

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। অপহৃত জাহেদ হোসাইন উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালামারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮) রামু উমখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। 

অপহৃতের বড় ভাই সৈয়দ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রী সেজে তার ভাই জাহেদের অটোরিকশা কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। গাড়িটি লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে জাহেদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পরিবারকে একাধিকবার ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানায়, সোমবার (২৫ মার্চ) রাতের মধ্যে অর্থ না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে তারা র‌্যাবের শরণাপন্ন হন। 

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, অপহরণের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে র‌্যাবের অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় পাহাড়-অরণ্য বেষ্টিত এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করে কয়েক শত গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলে সেখানে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা শুরু করে র‌্যাব। একপর্যায়ে সোমবার রাতে অভিযানকারীদের উপস্থিত আঁচ করতে পেরে অপহৃত জাহেদকে হাত-পা বাঁধা রেখে সটকে পড়েন অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে জাহেদকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অপহরণকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, এ ব্যাপারে অপহৃতদের স্বজনরা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেছেন। আটক ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে র‌্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।