ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

খুলনায় ২৫ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
খুলনায় ২৫ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা

বিগত ২৫ বছরের মধ্যে খুলনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, জলাশয় ভরাট ও গাছপালা কেটে স্থাপনা গড়ে তোলাই প্রধানত গরম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এছাড়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুধু খুলনায় নয়, গোটা বিভাগের তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদনিই বাড়ছে তাপমাত্রা। দাবদাহে পুড়ছে পুরো বিভাগ। আজ সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরো পড়ুন:

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, গত ২৫ বছরের মধ্যে সোমবার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল খুলনায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং কয়রায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে খুলনায় দফায় দফায় বৃষ্টির কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। গরমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে নলকূপ ও পাম্পে ঠিকমতো পানি উঠছে না।

অসহ্য গরমে পথচারী, যানবাহন চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের কাছে পানি, শরবত ও ফল নিয়ে যেতে দেখা গেছে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও তরুণ সমাজকে। খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে নগনবাসীকে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, গত বছর এপ্রিল খুলনায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও এ বছরের চলতি মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৭ মিলিমিটার। গত বছর তাপদাহের স্থায়ীত্বকাল ছিল এক সপ্তাহ। আর এবার ১২ দিন ধরে চলছে তীব্র তাপদাহ। বিগত বছরগুলোতে তাপমাত্রা বাড়লেও কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় তাপদাহের স্থায়ীত্বকাল কম ছিল। চলতি এপ্রিল মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় গরমের প্রভাব বেশি অনুভূত হচ্ছে।

নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়