ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ফাঁকা মাঠে বক্তব্য দেন অতিথিরা 

জামালপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২৭ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৭:১৫, ২৭ মার্চ ২০২৪
ফাঁকা মাঠে বক্তব্য দেন অতিথিরা 

ফাঁকা মাঠে বক্তব্য দিচ্ছেন এক অতিথি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। জাতীয় এই বিশেষ দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাঠে লোকজনের খুব বেশি সমাগম ছিল না। ফলে, অনেকটা ফাঁকা মাঠেই বক্তব্য দিয়েছেন অতিথিরা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। 

অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, রমজান মাস হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান করেননি তারা। লোকজন তুলনামূলক ভালোই উপস্থিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ভোরে ৩১ তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। এতে অংশ নেয়- উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারি-আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘স্যালোটিং ডায়াসে’ বক্তব্য দেন অতিথিরা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল অনুপস্থিত থাকায় প্রথমেই বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিকুল ইসলাম মানিক। এসময় অনুষ্ঠানে মঞ্চে কিছু অতিথিকে দেখা গেলেও মঞ্চের সামনে কোনো লোকজন ছিলেন না। এছাড়া, অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ থাকলেও, তার আয়োজন করা হয়নি।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লোকজন আসেনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিকুল ইসলাম মানিক বলেন, স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাঠ ফাঁকা থাকায় আমরা অবাক হয়েছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

পলবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যে কারণেই হোক না কেন, যদি লোকজন না আসে, সেটা দুঃখের বিষয়। ঠিকমত দাওয়াত দেওয়া হলে, অবশ্যই লোকজন আসতেন।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘মঞ্চে লোকজন ছিল। রমজানের কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করায় মঞ্চের সামনের অংশে লোকজন কম হয়েছিল। তাছাড়া, ওই অনুষ্ঠানে সাধারণ লোকজনের উপস্থিত হওয়ার কথা নয়। মূলত উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসার এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও সদস্যরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যথাযথভাবে সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে তুলনামূলক লোকজন ভালোই হয়েছে।

জামাল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়