ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অবশেষে অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম গ্রেপ্তার

পাবনা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ২৭ মার্চ ২০২৪  
অবশেষে অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সেলিম রেজা

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণীর দায়ের করা মামলায় অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম রেজা (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

আজ বিকেলে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন। এরপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে না করে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান অভিযুক্ত সেলিম। শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী ঐ তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা তরুণীকে জানিয়ে দেয় সেলিম রেজারকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

এ কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি এই বাড়ি থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেলিমের পরিবার থেকে সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

এরপর প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পাবনা র‌্যাবের একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে দলটি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
 

শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়