ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৮ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২০:০৫, ২৮ মার্চ ২০২৪
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা 

ভুটানের রাজা কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন

কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক। তিনি কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টা ২০মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আসেন এবং ১৫ মিনিট স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে ভুটানের রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। বিকেল ২টা ৫০মিনিটে স্থলবন্দরের বিশেষ ইমিগ্রশনের মাধ্যমে রাজা ভারত হয়ে নিজ দেশের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন। রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক চার দিনের সফরে গত ২৫ মার্চ ঢাকায় পৌঁছান। 

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমান বন্দর পৌঁছান ভুটানের রাজা। সেখান থেকে তিনি সড়ক পথে দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে আসেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম গ্রামে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে এ ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। স্থানটি ধরলা নদী ও সোনাহাট সড়কের পাশে হওয়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে সুবিধা মিললে সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথের।

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দুরত্ব মাত্র ৯৭ কিলোমিটার হওয়ায় সড়ক পথের এবং চিলমারী নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা পাবে দেশটি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান। তিনি সেখানে দুপুরের খাবার সেরে ১টা ২০ মিনিটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন শেষে সোনাহাট হয়ে ভুটানে ফিরে গেছেন। 

২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। 

কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার আগমন ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উৎফুল্ল এ জেলার সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা। রাজাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গার আশপাশে। কিন্তু কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন করেন রাজা।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ী সাজু আহমেদ জানান, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে জীবনমান বদলে যাবে এ জেলার মানুষের। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসার প্রসার ঘটবে এ জেলায়।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

সৈকত/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়