ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৯ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৭:২৮, ২৯ মার্চ ২০২৪
নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক

নিয়োগ পরীক্ষায় আটককৃত ভাই-বোন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ ভাই-বোনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার এবং তার ভাই আবদুল জলিল। আটক রিনা আক্তার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও ১ ঘণ্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে উত্তরপত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকেন। এ সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কায়দায় কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, এই ডিভাইস তার বড় ভাই তাকে দিয়েছেন পরীক্ষা দিতে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে খবর দিয়ে আনা হয়। দুই জনকে পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার দেওয়া তথ্যমতে পরে তার ভাই আবদুল জলিলকেও আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পৌর কলেজের ১০১ নম্বর কক্ষে রিনা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অবৈধ পন্থায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করে। পরীক্ষা চলাকালে ওই পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এতে তাকে সন্দেহ হয়, পরে তাকে তল্লাশী করে তার কান থেকে খুবই ছোট একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতো। এটি একটি বিশাল চক্র। সে তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করে। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এই ঘটনায় যেহেতু একটি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে, সেহেতু এর সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা তদন্ত করে জানতে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। আটক দু’জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাইনুদ্দীন/ফয়সাল/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়