ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

প্রকৌশলীকে মারধর করলেন কাউন্সিলর, মামলা

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২২:১৫, ১ এপ্রিল ২০২৪
প্রকৌশলীকে মারধর করলেন কাউন্সিলর, মামলা

সিলেটে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সময় ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ কারণে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১ এপ্রিল) ওই ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে দক্ষিণ সুরমা বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেন, বরইকান্দি এলাকার কাজী বায়েজিদ আহমেদ এবং শাহাদাত হোসেন রওজা।

জানা যায়, গতকাল রাতে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। আজ সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মাসুদ রানা।

সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, ‘কাউন্সিলর ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোর করে চালু করতে চাইছিলেন। ওই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু, তিন কোনো কথা না শুনে আমার ওপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।’

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, ‘মারামারি বা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে রাস্তায় পড়েছিল। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদেরকে বলি। কিন্তু, তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।’

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুবই বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। তিনি যদি এরকম মারমুখী হন তাহলে আগামীতে তার এলাকার জনগণও এ ধরনের কাজ করবেন। আমরা তো রাজনৈতিক সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারি না। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করব।’

নূর/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়