খুলনায় ইফতার-সাহরির সময়ও থাকে না বিদ্যুৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জার লাইট জ্বালিয়ে রান্না করছেন এক নারী। ফাইল ফটো
খুলনায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা গরমে নাকাল অবস্থায় রয়েছে।
ওজোপাডিকোর সূত্রমতে, গত ২ এপ্রিল খুলনা সাউথ ডিভিশনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪০ কিলোওয়াট। কিন্তু সরবরাহের জন্য প্রস্তুত ছিল মাত্র ২০ কিলোওয়াট। ৩ এপ্রিল এই ডিভিশনে বিদ্যুতের একই চাহিদা থাকলেও সরবরাহের জন্য প্রস্তুত ছিল ৩০ কিলোওয়াট। প্রায় অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় এই বিভ্রাট হচ্ছে। আগামী ৪-৫ দিন এমন লোডশেডিং থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ সংকটে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।
খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, সারাক্ষণ বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে রোগীদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারছি না।
জামাল মোড়ল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা থাকে, আবার এক ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এতে রাতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। সকাল থেকে আবার লোডশেডিং চলছে।
খুলনার মোহাম্মদ নগর এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ আলী বলেন, মাস শেষে আমরা বিদ্যুৎ বিল ঠিকই পরিশোধ করি। কিন্তু বিদ্যুৎ ঠিকমতো থাকছে না। এ ভোগান্তি আর কতদিন পোহাতে হবে?
বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হারেস বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সাহরি ও ইফতার ঠিকমতো করতে পারি না। তারাবির নামাজের সময়ও একই অবস্থা। মাহে রমজান আসলেই কেন এমনটা হয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের প্রশ্ন।
স্থানীয় অটোরিকশাচালক মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের আয়ের একমাত্র পথ এই অটোরিকশা। রাতে চার্জ না হওয়ার কারণে দিনের বেলা গাড়ি নিয়ে বের হতে পারি না। ফলে বাজার করা বন্ধ হয়ে গেছে। ইফতারও করতে পারি না, ঈদের কেনাকাটাও করা হয়নি।
এ বিষয়ে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তা মাহামুদুল হক বলেন, বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তবে ঈদের আগেই লোডশেডিং কমে যাবে।
নূরুজ্জামান/কেআই
আরো পড়ুন