ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

পৌরসভায় পানির সঙ্কট, বালতি-কলস হাতে বিক্ষোভ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ৮ এপ্রিল ২০২৪  
পৌরসভায় পানির সঙ্কট, বালতি-কলস হাতে বিক্ষোভ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় পানির সঙ্কট নিরসনের দাবিতে বালতি ও কলস হাতে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা। চলমান সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে। শিগগির এ সঙ্কট নিসরন হবে এমন আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তারা।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে চাঁপাইনবাবঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পানির সঙ্কট শুরু হয়। তবে বেশি সঙ্কট রয়েছে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এরমধ্যে তীব্র পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে মসজিদ পাড়া, মিস্ত্রী পাড়া, ভেলুর মোড়, আরামবাগ-উত্তরপাড়া, গুলবাগসহ পাইকড়তলায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি এসব এলাকার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ তীব্র পানির সঙ্কটে ভুগছে।

নারগিস বেগম নামে বিক্ষোভকারী বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে পানির সঙ্কট। যার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে স্বাভাবিকভাবে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো করতেও পারছি না। পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও এসবের সুরাহা হয়নি। তাই আজকে আমরা বালতি, মগ ও কলস হাতে নিয়ে এখানে এসেছি।’ 

মতিউর রহমান নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘প্রায় সব ওয়ার্ডে অল্প হলেও পানি সরবরাহ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মসজিদ পাড়া, মিস্ত্রী পাড়ায় কোনো পানি পাচ্ছি না। এই রমজান মাসে দূরের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে হচ্ছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পানি শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত পার হতেই খরা শুরু হয়েছে। যার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মেনে গেছে। চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসে পানির সঙ্কট দেখা দেয়। তাছাড়া বাকি সময়ে ঠিকই থাকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর-রশিদ বলেন, ‘পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যার কারণে পৌর এলাকার কয়েকটি মহল্লার মানুষজন পানি পাচ্ছে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিমাসে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পানির বিল বকেয়া থাকছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের পানির বিল বকেয়া আছে ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। তবুও আমাদের চেষ্টা করছি, এ সমস্যা সমাধানের।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, সম্প্রতি সময়ে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কয়েক জায়গায় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই সঙ্কট নিরসনে গুরত্বসহকারে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, এই সঙ্কট শিগগির নিরসন হবে।
 

শিয়াম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়