ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে এসিল্যান্ড’র বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৪  
পঞ্চগড়ে এসিল্যান্ড’র বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মালিহা খানম।

জমি সংক্রান্ত জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লুৎফর রহমান। আদালত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। সহকারী কমিশনার বিষয়টির তদন্তে উল্টো লুৎফর রহমানকেই লাঞ্ছিত করেছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) লুৎফর রহমান নামের ওই ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী সদর উপজেলার অমরখানা জামুরী বাড়ি এলাকার মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে। অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড় সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. মালিহা খানমের বিরুদ্ধে।

লুৎফর রহমানের অভিযোগ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. মালিহা খানম তাকে শুধু লাঞ্ছিতই করেননি, মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন নথিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষরও নিয়েছেন। ঘটনাটি গত ১৬ এপ্রিল সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লুৎফর রহমান গত ৬ ফেব্রুয়ারি অমরখানা ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিরোধ থাকা জমিকে কেন্দ্র করে লুৎফর রহমানের অগোচরে তার তথ্য সন্নিবেশিত করে মাহবুব নামে এক ব্যক্তি খারিজের আবেদন করেন। আবেদনে লুৎফর রহমানের নাম, ঠিকানা থাকলেও যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি মাহবুবের। নথিতে আবেদনকারী লুৎফর হলেও লুৎফরকে না জানিয়েই খারিজটি সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট ভূমি দপ্তর। এতে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। বিষয়টি সমাধানের জন্য মিজানুর রহমানের দ্বারস্থ হলে তিনি লুৎফর রহমানকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী রুহুল।

এদিকে, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। গত ১৬ এপ্রিল তদন্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেদিন লুৎফর সাক্ষীগণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মালিহা খানমের কার্যালয়ে। সেখানে পুলিশ এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়াসহ হেনস্থা করা হয় তাকে।

ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান বলেন, এসিল্যান্ড মালিহা খানম আমার এবং সাক্ষীদের বক্তব্য না শুনে মনগড়া বক্তব্য সাক্ষ্য হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন এবং থানা থেকে পুলিশ ডেকে এনে আমাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।

অভিযুক্ত ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, খারিজের আবেদনের পর আমি তদন্ত করে যা পেয়েছি, সে অনুযায়ীই খারিজ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. মালিহা খানম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

নাঈম/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়