ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যশোরে ইজিবাইক চালককে হত্যার মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২১ মে ২০২৪   আপডেট: ০৮:৫৬, ২১ মে ২০২৪
যশোরে ইজিবাইক চালককে হত্যার মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

যশোরের হামিদপুরে ইজিবাইকের চালক মফিজুর হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ মে) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান। 

পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মণিরামপুর উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম ও হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল। পলাতক দুই আসামি হলেন—যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরামঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ ও চাঁনপাড়া গ্রামের মফজেলের ছেলে এনামুল। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পথে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া পাওয়া যায়নি। দুই দিন পর ২৪ জুন সকালে হামিদপুর ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, মফিজুর ও তার হেলপার নয়ন যখন বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক সে সময় একটি নাম্বার থেকে মফিজুর রহমানের কাছে কল আসে। পরে মফিজুরকে নয়ন জিজ্ঞাসা করে, ‘কে ফোন করেছিল?’ এ সময় মফিজুর নয়নকে জানান, ‘তাকে টাকা দেওয়ার জন্য ইখতিয়ার কল করে ময়লাখানার সামনে ডেকেছে।’ এই বলে সুলতানা ফিলিং স্টেশনের সামনে ইজিবাইক থেকে নেমে যায় মফিজুর। নয়নকে ইজিবাইক নিয়ে চলে যেতে বলে। এ সময় নয়ন দেখতে পায়, পাশের একটি মেহগনি বাগানের সামনে ৪-৫ জন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয় মফিজুর। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের শুরুতেই ইখতিয়ার ও খোরশেদকে আটক করে। পরে তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, অপর তিন আসামিদের নাম। মূলত, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মফিজুরকে। লাশ ফেলে দেওয়া হয় ঝুমঝুমপুর ময়লাখানার পেছনের একটি পুকুরে। 

দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলায় পাঁচ আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ রায়ে সরকারপক্ষের পিপি আসাদুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

রিটন/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়