ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২৫ মে ২০২৪   আপডেট: ২০:৩৮, ২৫ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারে জরুরিসভা করেন জেলা প্রশাসক

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরিসভা শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দেন।

বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম পাবে রেমাল। নামটি ওমানের দেওয়া। যার নাম বালু।

শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে নিম্নচাপটি ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল হতে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পটুয়াখালীর পায়রা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সব মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। 

জরুরিসভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। এই কয় দিন সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কক্সবাজার জেলার উপপরিচালক মো. হাসানুল আমিন বলেন, ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কক্সবাজার জেলায় কাজ করছে। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল।

এদিকে, রেড ক্রিসেন্টের ১৮০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় তাদের ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি কাজে অংশ নেওয়ার জন্য ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ সিপিপি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত। তাদের কাছে ৪৮৬ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ২৩ বান্ডিল ঢেউটিন, টিনের সঙ্গে গৃহনির্মাণ মঞ্জুরির ৬৯ হাজার টাকা মজুত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

তারেকুর/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়