ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

স্কুলছাত্রীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত

নেত্রকোনা সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৯, ২৬ জুন ২০২৪   আপডেট: ১১:০৪, ২৬ জুন ২০২৪
স্কুলছাত্রীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত

অভিযুক্ত উত্তম বিশ্বাস

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় উত্তম বিশ্বাস (২১) নামে এক যুবক। বাধা দেওয়ায় ওই ছাত্রীর গলা ও ঠোঁটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত যুবক উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বরাত দিয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘উত্তম বিশ্বাস বখাটে প্রকৃতির ছেলে। বিবাহিত হওয়ার পরও এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবেশী ওই মেয়েটিকেও স্কুলে যাওয়ার পথে নানা কুপ্রস্তাব দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় উত্তম। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাগরিকার বাবা-মা বাড়ির পাশে বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় ঘুমিয়ে ছিলো মেয়েটি। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে মেয়েটির গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে তার গলায় ও ঠোঁটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় উত্তম।’

ওসি আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা মেয়েটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা মামলা করেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

ভুক্তভোগীর মা জানান, উত্তম একটা খারাপ ছেলে। আগে আমার ভাসুরের মেয়েকে উত্যক্ত করতো। কিছুদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করা শুরু করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, অনেকে আপসের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। ভয়ে মেয়েটাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেবক সরকার বলেন, ভোরেই মেয়ের বাবা-মা বিষয়টা আমাকে জানায়। আমি প্রথমে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে বলি। পরে আসামিপক্ষ আমার কাছে এসে বলে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করার জন্য। তারা মামলা করেছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলাল মিয়া জানান, উত্তমের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।  তবে সালিশের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ানা কবির জানান, এতো বড় ঘটনা অথচ এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টা জানলাম। এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দেলোয়ার/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়