ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ঘিওরের হাট, ভোগান্তি বাড়ে মানুষের

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১১ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১০:০২, ১১ আগস্ট ২০২৪
সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ঘিওরের হাট, ভোগান্তি বাড়ে মানুষের

মানিকগঞ্জের দুইশো বছরের পুরনো ঘিওরের হাট। প্রতিদিন এ হাট এলাকায় হাজারো মানুষের পদচারণা। হাটের দিনে মানুষের পদচারণা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। তবে এ হাট এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ডুবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। 

সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘিওর হাট ও উপজেলা সদরে যাওয়ার কয়েকটি রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাজারো মানুষের।  স্থানীয়রা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর তারা এমন জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বৃষ্টি হলেই তাদের এ দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।খানা-খন্দে ভরা সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

সরেজমিনে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে ঘিওর থানা মোড়ে ড্রেনের নোংরা পানি উপচে সড়কে এসে সয়লাব হয়ে রয়েছে। এই পানি মাড়িয়ে মুসল্লিদের মসজিদে এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। 

জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের স্থানগুলো হচ্ছে- ঘিওর বাসস্ট্যান্ড, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের মোড়, সরকারি কলেজের পেছনের ব্রিজের রাস্তা, দুধ বাজার, কাপড় পট্টি, কাঠ পট্টি, পুরাতন গরুর হাট, সরিষা পট্টি, টেম্পোস্ট্যান্ড, মাছবাজার, চালবাজার, জনতার মোড়, উপজেলা মডেল মসজিদের সামনে ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের সড়ক। বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় বাসস্ট্যান্ডের ৫০ গজ দূরের গোলাপনগর-বড়টিয়া রাস্তায়। এই রাস্তার প্রবেশমুখে এতোটাই পানি জমে থাকে যে, মোটরসাইকেল, অটো ও রিকশায় গেলেও যাত্রীদের ভিজে যেতে হয়।

দুর্ভোগের শিকার হওয়া ওহাব মিয়া নামে একজন রিকশাচালক বলেন, একদিন বৃষ্টি হলে গোলাপনগর রাস্তায় কমপক্ষে সাত দিন চলাচল করা যায় না। রাস্তাটির কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত। কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকে। রিকশায় থাকা যাত্রীদের কাপড় চোপড় ভিজে যায়। গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল সরকার বলেন, উপজেলা সদরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও এলাকাগুলোর জলাবদ্ধতা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঘিওর বাজারে মানুষের আনাগোনা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮৮ সালের প্রথম দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড, ধান হাট ও গরুহাটের কয়েকটি স্থানে নলকূপ ও শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু অল্পদিনেই সেগুলো ভরাট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরিকল্পিত ও মানসম্মত কাজ না করার কারণেই রাস্তাঘাট ও বাজারের অবস্থা এমন নোংরা-আবর্জনায় রূপ নিয়েছে। 

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু প্রকল্প এখনো চলমান। আর কিছু প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি কাজগুলো করতে পারলে ঘিওর হাটের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

চন্দন/টিপু 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়