ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান-সচিব লাঞ্ছিত, ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ১১ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৪, ১১ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান-সচিব লাঞ্ছিত, ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ফাইল ফটো

বহিরাগতদের নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বোর্ডে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। কী নিয়ে ঘটনা সেটা তিনি জানেন না। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করা হবে।

আরো পড়ুন:

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- রাজশাহী বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিম এবং সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল করিম। তারা সম্পর্কে ভাই।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, জাহিদুর রহিমের বিরুদ্ধে একজন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেসব সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ার জন্য সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বহিরাগতদের নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে যান তিনি।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, আজ দুপুরে জাহিদুর রহিম ও তার ভাই আমিনুল করিমসহ ১০-১৫ জন ব্যক্তি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অলীউল আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে বোর্ড চেয়ারম্যান কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় দরজার সামনে তাকে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর বোর্ড চেয়ারম্যান সচিব হুমায়ুন কবিরের কক্ষের সামনে যান। সচিবও ওই সময় বের হন। সচিবকেও লাঞ্ছিত করা হয়। 

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, জাহিদুর রহিম ও তার ভাই আমিনুল করিম একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনকে নিয়ে বোর্ডে যান। তিনি তাদের সামনে অভিযোগ তোলেন, চেয়ারম্যান ও সচিব দুর্নীতি করেছেন। অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান কাগজপত্র বের করে দেখান, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়। বরং, জাহিদুর রহিমেরই অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারপরও বোর্ডে চেয়ারম্যান ও সচিবকে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এরপর বহিরাগতরা চলে যায়।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অলীউল আলম বলেন, ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং বহিরাগতদের নিয়ে এসে বোর্ডে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে জাহিদুর রহিম ও তার ভাই আমিনুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুই ভাইসহ ৩০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।’

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে জাহিদুর রহিমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়