নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধান ও আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-আগুন
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় তার পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফয়সলের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শতাধিক কিশোর-তরুণ ও যুবক লাঠি সোটা নিয়ে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনা প্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদের দ্বিতল বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময় একই ব্যক্তিরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে বেশকিছুর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে উভয় বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বাড়িতে পাহারাদার যারা ছিলো তারা ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোন সম্পর্ক নেই। তা ছাড়া তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেটি ছিলো বৃহস্পতিবার দিনের বেলায়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, সাবেক সেনা প্রধান মঈন উ আহমেদের বাড়িতে তার ছোট ভাই জাবেদ উ আহমেদের দ্বিতল বাড়িতে একদল লোক হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই ভবনে কেউ ছিলোনা। হামলাকারীরা ওই সময় নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়র ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
ঢাকা/সুজন/টিপু