ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাগেরহাটে বিএনপির দু’ গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
বাগেরহাটে বিএনপির দু’ গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

কচুয়া উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়

বাগেরহাটের কচুয়া ও চিতলমারী উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ সংঘর্ষ হয়।

দুপুরে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের সময় দেপাড়া বাজার এলাকায় দুই গ্রুপের সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সভাপতি প্রার্থী লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। 

আরো পড়ুন:

আহতদের মধ্যে লিয়াকত হোসেনকে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল এবং তার ভাই শওকত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার সমর্থকদের মধ্যে ১৫ জন আহত হয়েছেন।’’ 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হাওলাদার বলেন, ‘‘আমি ও আমার সমর্থকেরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’’

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই দিনে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উপজেলার চরচিংগুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় কিবির মাস্টার ও মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে কিবির মাস্টার গ্রুপের আরিফুজ্জামান ও খাদিজা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

কিবির মাস্টারের অভিযোগ, ‘‘মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনকে আহত করেছে।’’ 

অন্যদিকে, মোস্তাফিজুর রহমান কচি বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে জনসমর্থন বেশি থাকায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে আমাদের ৭-৮ জনকে আহত করেছে।’’ 

চিতলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস জানান, সম্মেলন স্থলের বাইরে হামলা হয়েছে। এতে স্থানীয় কিছু আওয়ামী সমর্থকও জড়িত থাকতে পারে। বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/শহিদুল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়