ঢাকা     শনিবার   ১৫ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ২ ১৪৩১

রাজশাহীতে মামুনুল হক

শেখ হাসিনার গোড়া যেখানে, তসলিমা নাসরিনেরও সেখানে

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ০৮:৫১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শেখ হাসিনার গোড়া যেখানে, তসলিমা নাসরিনেরও সেখানে

মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীর গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ‍“নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রতি যারা পিরিত দেখান তারা মনে রাখবেন- এ দেশের মানুষ সহনশীল, কিন্তু দুর্বল নয়। শেখ হাসিনার গোড়া যেখানে, তসলিমা নাসরিনের গোড়াও সেখানে। তসলিমা নাসরিন আবার নতুন করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলটির রাজশাহীর গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই গণ-সমাবেশের আয়োজন করে খেলাফত মজলিসের জেলা শাখা।

আরো পড়ুন: খেলাফত মজলিসের আল্টিমেটাম, ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

মামুনুল হক বলেন, “১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা ভিনদেশী একটি শক্তি ছিনতাই করার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে কোনো দল এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি করেনি। শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা ঘোষণা করে বাহাত্তর সালেই বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বলি দিয়েছিলেন। এভাবে বাহাত্তরে একটি চেতনা দাঁড় করানো হয়েছে। সেই বাহাত্তরের চেতনাকেই একাত্তরের চেতনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। একাত্তরের চেতনা ছিল মুক্তির চেতনা। বাহাত্তরের চেতনা ছিল গোলামির চেতনা। গত ৫৩ বছর সেই দালালির চেতনাকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। সেই চেতনায় বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত তিন বছরেই ৩০ হাজার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “তার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)  কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি প্রতিশোধ নেবেন। যে দেশের মানুষ তার বাবাকে হত্যা করেছে, তিনি সেই প্রতিশোধ নেবেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা রাজনীতিতে ফিরলেন। তার মূলনীতি ছিল দুটি। বিভাজন আর ষড়যন্ত্র। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন। প্রতিশোধ নিয়েছেন তার দল আওয়ামী লীগ থেকেও।”

মামুনুল হক বলেন, ‘অনেকেই আশ্চর্য হবেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কীভাবে প্রতিশোধ নিলেন। চিন্তা করলে দেখবেন, তিনি আওয়ামী লীগের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন। গত ১৫ বছরে তিনি এমন এক জায়গায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে গেছেন, মানুষ আর আওয়ামী লীগের নাম মুখে উচ্চারণ করবে না। তিনি এমনভাবে আওয়ামী লীগকে ডুবিয়েছেন, কোনো আত্মমর্যাদাশীল মানুষ আর আওয়ামী লীগ করতে পারে না।”

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, “শেখ হাসিনা কারো নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেননি। নিজের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে তিনি পালিয়েছেন। দেশের অবস্থা সম্পর্কে হাসিনার কাছে সব তথ্য ছিল। তথ্য থাকার পরেও তিনি ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের জনগণের বুকে গুলি ছুড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণের মুখোমুখি তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজে লাগেজ গুছিয়েছেন। ১৪টা লাগেজ বোঝাই করে হেলিকপ্টার নিয়ে তিনি চম্পট দিয়েছেন।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ আবুল বাশার। সমাবেশে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়