ঢাকা     শুক্রবার   ১৩ জুন ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩০ ১৪৩২

নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩১, ১১ মে ২০২৫   আপডেট: ২২:৫১, ১১ মে ২০২৫
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১০ মে) রাত ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। 

গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে আছেন।  

আরো পড়ুন:

রবিবার (১১ মে) দুপুরে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর পরিবারের এক সদস্য জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে ৭০-৮০টি মোটরসাইকেল করে আসা লোকজন তাদের বাড়িতে ঢোকেন। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই তিনজন করে ছিলেন। তারা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন একটি কক্ষে আশ্রয় নেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফোন দেন।  

আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, ‍“হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে  ভাঙচুর করে। তারা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে।” 

তিনি বলেন, “বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।”

তিনি জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আত্মগোপনে থাকা আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিগত দিনে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। এ বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেব।” 

নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি এসব রাজনীতি সমর্থন করে না।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনের পর আমরা শহর আনন্দ মিছিল করেছি।” 

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “হামলকারীরা গ্লাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়