ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ভারতে গ্রেপ্তার ১১ বাংলাদেশি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১৫ মে ২০২৫   আপডেট: ১৮:৪০, ১৫ মে ২০২৫
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ভারতে গ্রেপ্তার ১১ বাংলাদেশি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া ১১ বাংলাদেশি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনস্যুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।

দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়ে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ওই বাংলাদেশিরা। ভারতে তারা ৮-৯ মাস কারাভোগ করেছেন।

দেশে ফেরা বাংলাদেশিরা হলেন—কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান এবং মো. রুহুল আমিন।

ভারতফেরত মো. হেলাল জমাদ্দারের ভাই মো. বেলাল জমাদ্দার বলেছেন, “আমার ভাই ৮ মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় যান। পরে খবর পাই ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সরকারি প্রক্রিয়ায় আজ ফিরে এসেছেন। ভাইকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।”

ঢাকার নাঈম আলী বলেন, “আমার ভাই ৮-৯ মাস আগে দালালের খপ্পড়ে পড়ে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। ওখানে সাজা শেষে আজ ফিরে এসেছেন।”

ভারতফেরত ফারজানা আক্তারের মা রাবেয়া আক্তার বলেন, “আমার মেয়ে বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়ে ভারতে চলে যায়। সেখানে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। মেয়েকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. রুহুল আমিন জানান, ১৪ মাস আগে কাজের কথা বলে দালাল ভারতে নিয়ে যায়। ৬ মাস কাজ করার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৬ মাস জেল এবং আড়াই মাস সেফ হোমে ছিলাম। দেশে ফিরে আসতে পেরে ভালো লাগছে।

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক ৮-৯ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম-ঠিকানা পাঠাই। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করি।

ঢাকা/পলাশ/রফিক 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়