ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হিলির হাটে-বাজারে গুণেভরা তালশাঁসের রাজত্ব

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৩ মে ২০২৫   আপডেট: ১৬:০৮, ২৩ মে ২০২৫
হিলির হাটে-বাজারে গুণেভরা তালশাঁসের রাজত্ব

হিলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস

দিনাজপুরের হিলির বিভিন্ন হাট-বাজারে রীতিমতো রাজত্ব করছে তালশাঁস। মৌসুমি এই তালশাঁস বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। মৌসুমি এই ফলের স্বাদ ভিন্ন রকম। গুণেও ভরা। তাই তালশাঁস খেতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে।

আবহাওয়া ভাল থাকায় গেলো বছরের চেয়ে এ বছর তালের পরিমাণ বেড়েছে। এবছর দামও খানিকটা কম, তাই বেচাবিক্রিও বেশি।

সরেজমিনে, হিলি চারমাথা মোড়ে তালশাঁস ব্যবসায়ীদের তালের খামাল দিয়ে বসে থাকতে দেখা গেল। তাল কেটে শাঁস বের করতে ব্যস্ত তারা। এ ফল খেতে তার চারপাশে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। প্রতিজন ১২ থেকে ১৫টি করে শাঁস নেবেন। দ্রুত তাল কেটে শাঁস বের করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাজটি সহজ নয়। 

এই অঞ্চলে তালের শাঁস জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে উঠতে শুরু করে। গেলো বছর ১০ থেকে ১২ টাকা দরে প্রতিটি তাল কিনেছিলেন ব্যবসায়ীদের। এবার মিলছে ৭ থেকে ৮ টাকায়। একটি তালের মধ্যে ২ থেকে ৩টি শাঁস থাকে। হিলি বাজারে প্রতিটি তালশাঁস মিলছে ৪ টাকা করে।

এদিকে, যতদিন যাচ্ছে ততই হারিয়ে যাচ্ছে তাল গাছ। এতে দিন দিন দুর্লভ হয়ে পড়ছে তালের শাঁস। এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তার পাশে দেখা যেত প্রচুর তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। 

তালশাঁস কিনতে আসা রাকিবুল ইসলামের বলেন, “তালের শাঁস স্বাদে ভরা। পরিবারের সবারই পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে এলাম। প্রতি পিচ ৪ টাকা করে নিচ্ছে। ১০টির অর্ডার দিয়েছি।”

অপর ক্রেতা রহমত আলী বলেন, “অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ একটু ভিন্ন। অন্য ফলের মাঝে এই স্বাদ খুঁজে পাই না। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টা করে তালশাঁস খাই। আবার বাড়ির জন্যেও কিনে নিয়ে যাই।”

তাল ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, “আমার বাড়ি পাঁচবিবির আটাপাড়ায়। আমি নওগাঁ জেলার ধামরহাট এলাকা থেকে তালের গাছ কিনি। এবার প্রতিটি তাল ৭ থেকে ৮ টাকায় কিনছি। তালের ফলন এবার অনেকটা ভাল হয়েছে। তবে গাড়ি ভাড়া বেশি। প্রতিটি তাল থেকে ৩ থেকে ৪টি করে তাল শাঁস মেলে। প্রতিটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।” 

তিনি আরো বলেন, “তাল শাঁস এই এলাকার মানুষের খুব পছন্দের। ক্রেতারা প্রচুর অর্ডার দিচ্ছেন। কাটতে হিমশিম খাচ্ছি। দীর্ঘদিন যাবৎ হিলিতে এই সময় তাল বিক্রি করে আসছি। দিন গেলে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা লাভ হচ্ছে। এই লাভ দিয়ে আমার সংসার সুন্দর চলছে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়