ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বিচার চাইব’

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১১, ১১ জুন ২০২৫  
‘প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বিচার চাইব’

বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমতির সহ-সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমেদ শিহাব বলেছেন, “সমাজের সবচেয়ে ভালো মানুষ হচ্ছেন ইমাম। মানুষকে অপরাধ নয়, কল্যাণের পথে ডাকেন তারা। সেই ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।” 

তিনি বলেন, “আসামি গ্রেপ্তার করা না হলে, সারা দেশের প্রায় ৯ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনদের নিয়ে পুলিশ প্রধানের কাছে যাব। প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বিচার চাইব। ন্যায়বিচারের জন্য চাপ প্রয়োগ করব। তবে, এই মুহূর্তে নয়। আগে দেখব, স্থানীয় প্রশাসন কি ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

আরো পড়ুন: জামায়াত নেতা কাউছার হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক নয়: রেজাউল

গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হামলায় মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলন নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের পূর্ব রাজিবপুর গ্রামে। তিনি সেখানকার একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে পূর্ব রাজিবপুর গ্রামে নিহত মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলনের বাড়িতে যান বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমতির নেতারা। সেখানে তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সমতির সহ-সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমেদ শিহাব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরো পড়ুন: স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না

মাওলানা হাবীব বলেন, “অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তাদের পরিচয়, তারা অপরাধী। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাব, কোনো সন্ত্রাসী বা অপরাধীকে যেন আশ্রয় না দেয়, তাদের জন্য যেন তদবির না করে ও প্রশাসনকে প্রভাবিত না করে। ইমাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে তারা সহযোগিতা করবে। এমনটি প্রত্যাশা জাতীয় ইমাম সমিতির।”

তিনি আরো বলেন, “সামাজিক একটি ঘটনা নিয়ে একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হন হত্যাকাণ্ডের শিকার ইমামের ছোট ভাই। তখন তাকে রক্ষা করতে কাউছার আহমেদের ছেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার হয়। খবরটি পেয়ে সন্তানকে বাঁচাতে ইমাম সাহেব সেখানে গিয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করে। সে ঘটনার কিছু সময় পর তিনি মারা যান। হামলাকারীরা একটি রাজনৈতিক দলের  কর্মী ও নেতা ছিলেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।”

আরো পড়ুন: বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি 

জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহি উদ্দিন বলেন, “মাওলানা কাউছার হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রশাসনকে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হয় সারা দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা বসে থাকবে না। তারা প্রতিবাদ জানাবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আপনারা দুর্বল ভাববেন না। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে, জাতীয় ইমাম সমিতি মনে করে, এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার দেশের প্রশাসন করবে।” 

পরে জাতীয় ইমাম সমিতির সহ-সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমেদ শিহাব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মহি উদ্দিন, এহসান উদ্দিন ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনসহ একটি টিম অতিরক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় তারা হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরে তারা লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়