ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কুমিল্লায় সড়কে ভাসমান দোকানের দাপট, যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লায় সড়কে ভাসমান দোকানের দাপট, যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত সড়কের একাংশ

কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত সড়কটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত পথ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। এই সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল করে বসেছে ভাসমান দোকান। এতে যানজট আরো বেড়েছে। 

ফুটপাত থেকে সড়কের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভ্যানগাড়ি, ফল-সবজির পসরা ও দোকানের মালপত্র রাখা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রিকশার স্থায়ী ভিড়। ফলে পুরো এলাকা এখন অস্থায়ী রিকশা স্ট্যান্ডের মতো হয়ে গেছে।

সরেজমিনে রাণীরবাজার এলাকায় দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে সারি সারি ভ্যানগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। মাটিতে সবজি সাজানো এবং দোকানের মালপত্র ফুটপাতে ফেলে রাখা। এরই সঙ্গে যাত্রী ওঠানোর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য রিকশা। সব মিলিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। এটি যেন সড়ক নয়, কোনো কাঁচা বাজার। অথচ প্রতিদিন চলাচলের জন্য কয়েক হাজার মানুষ এই সড়কের ওপরই নির্ভরশীল।

এই পথের ওপর নির্ভরশীল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিসিক শিল্প এলাকার ট্রাক, অশোকতলা, বাগিচাগাঁও, তালপুকুরপাড় ও ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দারা। আশপাশের কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন।

পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্কুল বা কলেজে যাওয়ার সময় পাঁচ মিনিটের পথও কখনো কখনো আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লাগে। অনেকে হেঁটেই স্কুল বা অফিসে পৌঁছাতে বাধ্য হন। যানজটের কারণে অফিসগামী মানুষদের অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ক্রেতা সঙ্কটে পড়েছেন তারা। যানজটের কারণে ক্রেতারা দোকানে প্রবেশ করতে চান না। ফলে ব্যবসায়ও ক্ষতি হচ্ছে।

সড়ক ব্যবস্থাপনায় আরো সমস্যা সৃষ্টি করছে ট্রাক চলাচল। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিসিক শিল্প এলাকার ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সারাদিনই বড় ট্রাক চলাচল করছে এই সড়ক দিয়ে। একবার ট্রাক উঠলেই পুরো সড়ক কার্যত অচল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে গাড়িচালক পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন।

নগরবাসী অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান ও আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহ আলম বলেন, “সড়ক দখল করে কোনো ভাসমান দোকান বসানো হবে না। শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়