সাতক্ষীরায় পুলিশ পাহারায় শেষ হলো রাস্তার কাজ 

বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি, ঠিকাদারসহ কাজ বাস্তবায়নকারীদের হুমকি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মালামাল দেওয়ার নামে টাকা দাবিসহ বিভিন্ন কারণে সাতক্ষীরা উন্নয়ন কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। দলীয় নেতা পরিচয়ে এসব করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। 

ঠিকাদারদের দাবি জেলার প্রায় সব উপজেলায় কাজ করতে গেলে নীরব চাঁদাবাজীর স্বীকার হতে হচ্ছে। ফলে জেলার উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে চাঁদা দাবি করার কারণে পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করার ঘটনাও ঘটেছে।

ঠিকাদাররা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বদ্ধিপুর কলোনি এলাকায় সড়ক নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স ছয়ানী এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদ হাসানের কাছে চাঁদা দাবি করে তাকে লাঞ্ছিত করে একদল দুর্বৃত্ত। চাঁদা না পেলে তারা সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ফলে গত বুধবার সকালে পুলিশ পাহারায় সড়কের কাজ করেন জাহিদ হাসান। তিনি সাতক্ষীরা সওজ থেকে গোবিন্দপুর বাজার ভায়া জেয়ালা সড়কের কাজ করছেন। তার অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রসাশনের সহয়তায় পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করেন তিনি। 

জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশীদার। আমাদের কাজে বাধা দেওয়া মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে সাতক্ষীরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গেলে নীরব চাঁদাবাজির স্বীকার হতে হচ্ছে আমাদের।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার কাছেও টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় রাস্তা খুঁড়ে রাখে। কাজ শেষ করতে নানাভাবে বাধা দেয়। আমাকে চরম ভাবে হেনস্থা করেছে তারা। পরে পুলিশ পাহারায় কাজটি শেষ করেছি।’’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘‘ঠিকাদারের লোকজনকেও বখাটে ছেলেরা হুমকি দিয়েছিল। তাদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সব কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে।’’

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারি বদ্দিপুরে সরকারী কাজে বাধা দিচ্ছে কিছু বখাটে। পরে আমার একজন সাব ইন্সপেক্টর ও দুজন কনস্টেবল পাঠিয়ে কাজ শেষ করার ব্যবস্থা করি।’’