ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাস থেকে ফেলে দেওয়া যাত্রীর মৃত্যু, থানায় মামলা

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:২৪, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
বাস থেকে ফেলে দেওয়া যাত্রীর মৃত্যু, থানায় মামলা

আলাউদ্দিন ইসলাম টগর

বাসে সিট নিয়ে বাগবিতাণ্ডার জেরে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া যাত্রী আলাউদ্দিন ইসলাম টগর (৩৫) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রাতে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নিহতের ভাই হত্যা মামলা করেছেন।

গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী নগরের লিলিহলের বাঁশেরআড্ডা এলাকায় বাস থেকে টগরকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিহত টগর রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুরের কুলপাড়ার আবু সাইদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

নিহতের চাচাতো ভাই আল-আমীন ভুলু জানান, টগরের বোন রুমি খাতুনের শ্বশুর বাড়ি গোদাগাড়ীতে। তাকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের একটি বাসে উঠিয়ে দিতে যান টগর। হেলপার তাদের জানান, বাসে সিট আছে। ভেতরে গিয়ে টগর দেখেন, বাসে কোনো সিট নেই। তখন টগর সুপারভাইজারকে বলেন, আপনারা তো বললেন সিট আছে, কিন্তু একটাও সিট নেই। এ নিয়েই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চলন্ত বাসে টগরকে মারধর করা হয় এবং পরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, টগরকে সড়কে পড়ে থাকতে দেখে, বোন রুমি তার কোলে থাকা এক বছরের শিশুকে পাশের যাত্রীর কাছে দিয়ে দ্রুত নেমে আসেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস বাসটিকে থামিয়ে দেয়। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ বাসটি হেফাজতে নেয়।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি ঘটনাটি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তার ব্যাখা, “টগর তার বোনকে বাসে তুলে দিয়ে নামতে দেরি করেন। এরমধ্যে বাস ছেড়ে দেয়। তিনি নামতে চাইলে হেলপার তাকে জানান, এটা টাইমের গাড়ি, সামনে নামিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির সময় ওই ব্যক্তি হেলপারকে বাসের ভেতর মারধর করেন। তখন হেলপার বলেন, আপনি আমাকে মারলেন, সামনে কাশিয়াডাঙ্গায় আমাদের মাস্টার আছে, সেখানে চলেন। এ কথা শুনে, ওই ব্যক্তি বাস থেকে লাফ দেন।” 

কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল বারী জানান, সিট আছে বলে যাত্রী তুলে হেলপার-সুপারভাইজার সিট দিতে পারেনি। এরপর তারাই উল্টো টগরকে মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের ভাই দুলাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। বাসের চালক ও হেলপার পলাতক, বাসটি জব্দ করা হয়েছে।” 

তিনি বলেন, “মামলার এজাহারে তাদের নাম নেই। শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর টগরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়