শেখ রাসেলের আবক্ষ ভাস্কর্য তৈরি করলেন মণিন্দ্র
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
শেখ রাসেলকে দেখেননি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেননি, দেখেননি মুক্তিযুদ্ধও। তবে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের কথা গল্পে গল্পে অনেক শুনেছেন, জেনেছেন, পড়েছেন। সেই থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি তার ভালোবাসা। সে ভালোবাসা থেকে তৈরি করেছেন শেখ রাসেলের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য।
বলছিলাম মণিন্দ্র পাল নামে এক ভাস্করের গল্প। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে চারুকলায় স্মাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই মাসের মতো সময় নিয়ে দিনরাত নিজের শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে নিপুণ হাতের স্পর্শে তৈরি করেছেন এই আবক্ষ ভাস্কর্য।
সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল শিশু পার্কে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের আবক্ষ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর আবক্ষ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে ভাস্কর্যটি। তবে চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে ভাস্কর মণিন্দ্র পাল এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি! উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন অশ্রুসিক্ত মণিন্দ্র।
তিনি জানান, মানুষের ভালবাসায় যুগ যুগ যারা বেঁচে থাকে, মৃত্যু তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না। শেখ রাসেল তেমনই একজন। তিনি আমাদের আবেগ-অনুভূতির অংশ। ভালোবাসা থেকেই এ কাজটা আমি করেছি৷ চাইলে অনেকভাবেই টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু ভালোবাসা থেকে একটা কাজ করা খুব কঠিন। সৌমিত্র শেখর স্যারের পরামর্শ মতো আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি নিখুঁতভাবে কাজটি করার।
উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, শেখ রাসেল আমাদের কাছে নিষ্পাপের প্রতীক। তিনি সবসময় আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় থাকবেন। তার এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর মণিন্দ্র পাল। নির্মাণ কাজ চলার সময় আমি নিজে অনেকবার গিয়েছি, দেখেছি, আলোচনা করেছি। এই কাজের মুখ্য বিষয় ছিলো মনঃসংযোগ আর ভালোবাসা। এ ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, এ ভালোবাসা শেখ রাসেলের প্রতি ভালোবাসা, এ ভালোবাসা বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা। এই আবক্ষ ভাস্কর্য নিষ্পাপতার প্রতীক হয়ে রইবে।
/আশিকুর/মেহেদী