রিকশাচালকের বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) রিকশাচালকের বিরুদ্ধে হলে ফেরার পথে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (২৪ মে) নোয়াখালীর পৌর বাজারের পিছনে ল'ইয়ার্স কলোনি সংলগ্ন প্রভাতী স্কুল এলাকায় এ হেনস্তার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২৫ মে) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বান্ধবীর বাসা থেকে হলে আসার উদ্দেশ্যে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় ওঠেন তিনি। তখন রিকশাচালককে স্বাভাবিক মনে হলেও প্রভাতি স্কুলের অদূরে একটি ব্যাটমিন্টন কোর্টের সামনে সে হঠাৎ রিকশাটি থামায়। জায়গাটি তখন নিরিবিলি ছিল। রিকশায় সমস্যা হয়েছে জানিয়ে সে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে এবং পেছনের চাকার কাছে বসে ভুক্তভোগীকে পা দিয়ে রিকশার পাশে চাপ দিতে অনুরোধ করে।

তিনি আরও জানান, দেখানো জায়গায় পা দিয়ে চাপ দিলেও কাজ হচ্ছে না উল্লেখ্য করে তিনি জুতা খুলে ভুক্তভোগীকে চাপ দিতে অনুরোধ করে। পরে জুতা খুলে চাপ দেওয়ার সময় তিনি পা ধরে এদিক ওদিক করতে থাকেন এবং নানাভাবে পা নাড়ানোর নির্দেশনা দেন। একপর্যয়ের পায়ের আঙ্গুল মুখে ঢুকানোর চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী পা সরিয়ে নেন এবং বিপদ আঁচ করতে পেরে রিকশা থেকে নামার চেষ্টা করেন। তখন রিকশাচালক দ্রুত উঠে রিকশা চালানো শুরু করেন। রিকশাটি বড় মসজিদ মোড় এলাকায় এলে দ্রুত নেমে ভুক্তভোগী হলে চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত রিকশাচালককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। সে যেই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বা বাইরে। আমার শিক্ষার্থী যৌন হেনস্তার শিকার হবে, আর আমরা বসে থাকবো; প্রশ্নই আসে না। অভিযোগ এলে আমরা সর্বোচ্চ যতটুকু ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তা করবো।’