ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কোটা আন্দোলনকে ‘ব্যবহার’ করে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৭:২৫, ১৪ জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনকে ‘ব্যবহার’ করে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ‘ব্যবহার’ করে প্রক্টরবিরোধী আন্দোলনে নামার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রক্টর অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহর ২৫-৩০ জন অনুসারীরকে ক্যাম্পাস গেট থেকে প্রক্টরের পদত্যাগ ছেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে তালা দেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছুড়েন। ফলে তিন সাংবাদিক সহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা প্রক্টরের প্রদত্যাগ দাবিতে তার অফিস তালাবদ্ধ করে দেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু মোহাম্মদ রায়হান জানান, '১১ জুলাই প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তারা এখনো পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ হামলার বিচার চান এবং কোটা পদ্ধতির সংস্কার চান। এখানে প্রক্টরের পদত্যাগের কোনো বিষয়ে আমরা নেই। ছাত্রলীগের যারা আছেন তারাও আমাদের ভাই। আশা করি তারা বিষয়টা বুঝবেন।’

এছাড়া আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য আসছিলাম। ক্যাম্পাসে কি হচ্ছে সেটা আমরা জানি না। আমরা ক্যাম্পাসে গেলে বুঝতে পারবো।’

প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এনায়েত উল্লাহর অনুসারী রবিন দাশ বলেন, ‘প্রক্টরের কাজ আমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু ওইদিন উনার সামনে আমার ভাইয়েরা হামলার শিকার হয়েছেন। এজন্য আমরা এ প্রক্টরের অপসারণ চাই। এর আগেও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা আমরা কোটা আন্দোলনের থেকে করছি না, ছাত্রলীগ আন্দোলন থেকে করেছি।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘তিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিলে আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে। এটা কোনো একক হলের নেতৃত্বে দেওয়া হয়নি। এটা ছাত্রলীগের কোনো অংশ না। এছাড়া কোটা আন্দোলনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। বরং ওইদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে তারা আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘কে বা কারা তালা দিয়েছে আমরা এখনও সঠিক বলতে পারছি না। তবে কোটার বিরুদ্ধে যারা যৌক্তিক আন্দোলন করছে, তাদের কেউ এখানে ছিল না।’

/এমদাদুল/মেহেদী/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়