ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চবিতে ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী ভুক্তভোগী শিক্ষককে থাপ্পড় দেন।

অভিযুক্ত আফসানা এনায়েত এমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়। 

জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে যান। এ সময় সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলী ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ছাত্রী তাকে থাপ্পড় দেন।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করার অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা হলের কিছু ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলেন ওই হলের ছাত্রীরা। এছাড়া আরও একজন সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্রীসহ আরো যেসব ছাত্রী সেদিন হামলায় জড়িত তারা স্বৈরাচারের দোসর। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করায় ওই ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী গাজী ইমরান বলেন, “এখনো শেখ হাসিনা হলে পতিত সরকারের দোসর ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রয়ে গেছে। যার কারণে স্বৈরাচারের নামফলক ভাঙতে গেলে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ওই ছাত্রীসহ আরো যারা সেদিন শিক্ষক, ছাত্র ও সাংবাদিকের উপর হামলা করেছে, তাদের দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে তাদের সনদপত্র বাতিল করতে হবে।”

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, “আমরা কাজ কাজ করছি মূল্যবোধ সংরক্ষণে। শিক্ষকের ওপর প্রকাশ্যে হামলা ছাত্রীদের মূল্যবোধের চরম অবনতির বহিঃপ্রকাশ। এ হামলাকারী গোষ্ঠীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে না পারলে প্রশাসন ব্যর্থ বলে গণ্য হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে হামলায় জড়িত ছাত্রীদের অবিলম্বে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “ঘটনাটি অনেক আগের। সেদিনের ঘটনা তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত চারদিন আগে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। আজ তাদের প্রতিবেদন দাখিলের শেষদিন। প্রতিবেদনের আলোকে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়