ঢাকা     শনিবার   ১৭ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৮ মে ২০২৫  
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি

ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ গণহত্যার কুশীলবদের ক্রমান্বয়ে দেশত্যাগে সহায়তার দায়ে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার এবং আগামী তিনদিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র ও ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসর আবদুল হামিদকে দেশ থেকে নিরাপদে বাইরে যাওয়ার সুযোগ যারা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী তিনদিনের মধ্যে বলতে হবে বর্তমান রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কে ফোন করেছিল? যদি বলতে না পারেন- এই দায় প্রধানত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।”

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “এখন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভদ্রতার সঙ্গে বলছি, এরপরে ভদ্রতাও থাকবে না। পরে আমরা বাথরুম পরিষ্কারের ঝাড়ু, স্যান্ডেল নিয়ে রাস্তায় নামব। যদি আমাদের জীবনই চলে যায়, শহীদদের পরিবারের ওপর আবারো গণহত্যা চালানো হয়, তবে ইন্টেরিম সুদ্ধ রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।”

ছাত্রজনতার দাবি না মানা, জুলাই গণহত্যার বিচারে অগ্রগতি না থাকাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চেয়ে তিনি আরো বলেন, “এখনো চুপ্পুর অপসারণ করা যায়নি, সংবিধান বাতিল করা যায়নি, জুলাই ঘোষণাপত্র হয়নি, ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী নিষিদ্ধ করা যায়নি, গণহত্যার বিচার শুরু করা যায়নি। এসব দাবি নিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেলে ছাত্র উপদেষ্টারা বলেন সরকার চাপে পড়ে। ডজন ডজন উপদেষ্টার মাঝে তোমরা মাত্র দুজন। তোমরা আমাদের থামাইতে আসো কেন?”

হাদি বলেন, “তোমরা চেয়ারে থেকে কাজ করতে পারো না। ছাত্র-জনতার একটা দাবিও বাস্তবায়ন করাতে পারিনি- এটা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করো। গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের আগে রাতের আধারে প্রোটোকোল নিয়ে লুকিয়ে পালাতে পারছে, তখন এই চেয়ারে বসে থাকার বৈধতা তোমাদের নেই।”

ছাত্র-জনতার কাতারে আসার আহ্বান জানিয়ে হাদি আরো বলেন, “জুলাইয়ের প্রতি আপনাদের দরদ যদি থেকে থাকে, তবে আগামী তিনদিনের মধ্যে উপদেষ্টার চেয়ারে লাথি মেরে আমাদের কাতারে চলে আসেন।”

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনি ডজন খানেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এনেছেন, আমরা সাদুবাদ জানিয়েছি। কিন্তু আগামী ৩৬ জুলাইয়ের আগে জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞ আনছেন না? এটা আমরা বুঝি। গণহত্যার বিচারের জন্য যা কিছু করা লাগে, আপনাকে সেটা করতে হবে। না হলে জনরোষ থেকে বাঁচা যাবে না। উন্নয়ন করে যদি কেউ টিকে থাকতে পারত, তবে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাত না।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়