ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি: দক্ষিণবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি

ববি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ১২ মে ২০২৫   আপডেট: ১৯:৪৬, ১২ মে ২০২৫
ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি: দক্ষিণবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হলে দক্ষিণবঙ্গকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সোমবার (১২ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টায় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

একই দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রবিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন। ঘোষণা অনুযায়ী এতে চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

আন্দোলন চলাকালে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুজয় শুভ বলেন, “এ দায় প্রধান উপদেষ্টার, শিক্ষা উপদেষ্টার নাকি অন্য কারো—তা তারা বুঝুক। যদি আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টার মধ্যে এই ফ্যাসিস্ট উপাচার্য পদত্যাগ না করেন, তাহলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গোটা দক্ষিণবঙ্গকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। আমরা ১টা ৫৯ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমরা কারো ভোগান্তির কারণ হব না।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সন্তোষজনক বার্তা দেয়নি। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে দাবি মেনে না নিলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হব। তবে আমরা জনভোগান্তির পক্ষপাতী নই।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মহসিন উদ্দিন, কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিরাজিস সাদিক, উদ্ভিদবিজ্ঞান  বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম মিয়া প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শুচিতা শরমিন বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণাঞ্চলের বাতিঘর। এর সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা সবার দায়িত্ব। আমি বারবার শিক্ষার্থীদের বলছি, ভুল থেকে ফিরে আসো। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছে। অধ্যাপক ইউনুসের জুলাইকে ঘিরে যে ভাবনা ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমাকে নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসার পর থেকেই আমি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।”

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়