খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী
খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত অংশীদার না হয়েও নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মিজানুর রহমান এ পদ বাগিয়ে নিতে সাবেক চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি গোপন সভা করে নিজেকে নির্বাচিত করেছেন।”
গত ২৬ মে সকালে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. সাহিদা খানম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় মো. মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, “আমাকে কিছু না জানিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বার উপস্থিত ছিলেন না, আর যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পরিবর্তন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারেন। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জন ট্রাস্টি ছিলেন। বাকি ৩জন ট্রাস্টির পদ পূরণের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও মো. আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) পাঠানো হয়। তবে আরজেএসসি থেকে তাদের এখনো ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি।
এই প্রসঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাকে কিছু না জানিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বার উপস্থিত ছিলেন না, আর যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সাথে চেয়ারম্যান পরিবর্তন প্রসঙ্গে কোন আলোচনা করা হয়নি। কৌশলে এই পদটি তিনি দখল করে নিয়েছেন। আর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুমোদিত অংশীদার (ট্রাস্টি) নন। যিনি অনুমোদিত অংশীদার নন, কী করে তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। এসব করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন। বিভিন্ন আইনগত বাধার কারণে এতে বিপাকে পড়বেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি বেশ কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করে আসছি। ২১ তারিখের মিটিংয়ে সবাই আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে।”
ঢাকা/এএএম/এসবি