ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ডাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ২৪ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৯:০৯, ২৪ আগস্ট ২০২৫
ডাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও সাইবার বুলিং ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’ সহ আরো কয়েকটি চিহ্নিত অনলাইন পেইজ অনতিবিলম্বে বন্ধ করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশসের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগঠনটির সব ধরনের কার্যক্রম ও শাটল সার্ভিস ক্যাম্পাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারমূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কোনো প্রার্থী বা পক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব ধরনের উপঢৌকন বিলি-বন্টন, আপ্যায়ন, অর্থ সহযোগিতা কিংবা অনুরূপ কার্যক্রম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কার্যক্রম নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ বলে বিবেচিত হবে।

প্রার্থীরা সোমবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচার চালাতে পারবেন না উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৬ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচার কার্যক্রম চালাতে পারবেন। তবে এ সময়েও সামাজিক/আর্থিক/সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/প্রাঙ্গণে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।

এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়