ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাকে ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর
এম মাহফুজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম
![ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাকে ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাকে ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2020June/bg/walton-risingbd20200624171058.jpg)
ওয়াজেদ আলীর হাতে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে
সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় সম্প্রতি ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের কোনাবাড়ির যুবক ওয়াজেদ আলী। জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করা ওয়াজেদের সামনে এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি। পেশায় দর্জি ওয়াজেদ ওয়ালটন থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকায় গ্রামের বাড়িতে একটি গরুর খামার করবেন বলে ঠিক করেছেন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের শোরুম ‘হাজী ইলেকট্রনিক্স’-এ সামাজিক দূরত্ব মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াজেদ আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিকদার মোশাররফ হোসেন, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং-এর জোনাল হেড মাসুদ সোহেল, আটাবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইব্রাহীম খালেদ, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিবুল্লাহ বেলালী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইছহাক আলী, মিজানুর রহমান এবং ফারুক হোসেন, কোদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি সোলায়মান সিকদার, শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী শাহ আলম, খোরশেদ আলম এবং মাহবুব আলম প্রমুখ।
ওয়াজেদ আলী জানান, গত ১০ জুন তিনি ‘হাজী ইলেকট্রনিক্স’ থেকে মাত্র ২৭ হাজার ৩০০ টাকায় ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন। এরপর মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।
ওয়াজেদ আলীর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার শৌলমারী গ্রামে। ৬ বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায় তার। অভাবের কারণে পড়াশোনারও সুযোগ হয়নি। ঢাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। তিন বছর ছিলেন গার্মেন্টসকর্মী। ২০০১ সাল থেকে কোনাবাড়িতে দর্জির কাজ করছেন। আর কাশিমপুরের বিগ বস গার্মেন্টসে কাজ করেন তার স্ত্রী মাজেদা বেগম। দুই সন্তান নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটে তাদের। অনেকদিন ধরে একটি ফ্রিজ কেনার ইচ্ছা ছিলো। স্ত্রীর বেতন এবং অল্প অল্প করে নিজের জমানো টাকা দিয়ে ফ্রিজটি কেনেন ওয়াজেদ। ওয়ালটন থেকে কেনা ওই ফ্রিজেই ভাগ্য বদলে গেলো তার।
![](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2020June/bg/walton-risingbd120200624170955.jpg)
এ সময় শিকদার মোশাররফ হোসেন বলেন, ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ভালোমানের পণ্য ও সেবা দিয়ে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশি কোম্পানি হিসাবে ওয়ালটন এখন জাতীয় গর্বে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারির সময়েও ওয়ালটন নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকের টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান প্রমাণ করে গ্রাহকদের দেওয়া কথা রাখে ওয়ালটন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা, ক্রয় সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজ উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিজাইন এবং মানোন্নয়নে দেশ-বিদেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) টিম কাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত আরও উন্নত ও অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন।
স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম ওয়ালটন কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারজাত শুরু করেছে। কোরবানি উপলক্ষে করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করলো ওয়ালটন।
আন্তর্জাতিকমান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।
* ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ
ঢাকা/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন