ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় নতুন নির্দেশনা

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০০, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:২৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় নতুন নির্দেশনা

আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি তিন মাস পর বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও পরিবীক্ষণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও প্রান্তিক শেষ হওয়ার পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠানোর জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাস্তবায়নে সাধারণত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ধীরগতিতে চলে। অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যেমন ধীরগতি দেখা যায়, তেমনি বেতন-ভাতা ছাড়া অন্যান্য আইটেমের বিপরীতে ব্যয়ের পরিমাণও কম থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মেরামত সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত এবং মালামাল ক্রয়/সংগ্রহের ক্ষেত্রে অর্থবছরের শেষদিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এছাড়া বছরের শেষে এসে সরকারের অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার নিতে হয়। ফলে বাজেটে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায় না।’

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা। জাতীয় সংসদ  অনুমোদিত বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনা নেওয়া এবং তা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানো এবং ঋণজনিত ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।’

রাজস্ব আহরণ পরিকল্পনার বিষয়ে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন আইটেমের বিপরীতে ধার্য করা লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে কোয়ার্টারভিত্তিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। কোনো আইটেমের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে মৌসুমভিত্তিক কম-বেশির রেকর্ড থাকলে তা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইটেমের বিপরীতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।’

ব্যয়ের পরিকল্পনায় পরিপত্রে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘বেতন-ভাতাসহ যেসব আইটেমের বিপরীতে বরাদ্দ করা অর্থ সাধারণত সমান হারে পরিশোধ/ব্যয় হয়ে থাকে, সেসব আইটেমের বিপরীতে কোয়ার্টারভিত্তিক ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা সমান হারে নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে কর্মকর্তাদের বেতনের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির আর্থিক সংশ্লেষ বিবেচনায় রাখতে হবে।’

অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টার থেকেই মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এমনভাবে শুরু করতে হবে যেন অর্থবছরের বিভিন্ন কোয়ার্টারে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের বিল মোটামুটি ভারসাম্য করে পরিশোধ করা যায় এবং অর্থবছরের শেষ কোয়ার্টারে মাত্রাতিরিক্ত বিল পরিশোধের চাপ সৃষ্টি না হয়।

অর্থবিভাগের পরিপত্রটি সরকারের সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরগুলোকে যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়