আমদানি নির্ভর পণ্যের যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করা হবে: বাণিজ্য সচিব

দেশে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন মসলাসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। 

তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে দাম নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ‌্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী; 

টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা এম মুর্তজা রেজা, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. আতহার তাললিম, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহা-ব্যাবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি এ্যাডভাইজার মো. শফিউর রহমান, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের দিদার মোহা. দবিরুল ইসলাম; 

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, কৃষি বিপণন অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং এবং অভিযান জোরদার করেছে। আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে যেন পণ্য সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি বা ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। অথবা কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করা না হয়, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। গতবছরের চেয়ে এবার প্রায় আড়াইগুণ বেশি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে পণ্য মজুত করলে বা কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বাজারে চালের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাল আমদানি শুরু করেছে এবং আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমদানিকৃত ভোজ্য তেল এবং চিনির যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।’