ঘরে বসেই হবে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ফরম এবং সম্পদের হিসাব-নিকাশ এখন অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পূরণ করা যাবে। ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর পরিশোধ এবং রিটার্ন ফাইল দাখিল। নেওয়া যাবে আয়কর সংক্রান্ত যেকোনো সেবাও।
আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করতে ‘ডিজিট্যাক্স’ নামে এমন একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন নিয়ে এসেছে দেশ ইউনিভার্সেল নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর কার্যালয়ে ডিজিট্যাক্সের এ অনলাইন ট্যাক্স অ্যাপলিকেশনটি উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
এসময় দি ইনিস্টিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে এম আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, ডিজিট্যাক্সের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার রঞ্জু ও ইআরএফ সেক্রেটারি এসএম রাশিদুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিট্যাক্সের মূল ফিচার বর্ণনা করে প্রতিষ্ঠানটির টিম মেম্বার সৈয়দা নুসরাত হায়দার বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের করদাতা রয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই আয়কর হিসাব নিকাশের নিয়মাবলী ও আইন কানুন যথাযথভাবে জানেন না। ফলে সুচারুভাবে রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমে রয়েছে আইন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় আয়কর গণনা পদ্ধতি। যেন ব্যবহারকারীরা সহজেই আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে, বাংলা ভাষায়ও সফটওয়ারটি ব্যবহারের পদ্ধতি রাখা হয়েছে। করদাতা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রিটার্ন পূরণ করে নিজে আয়কর অফিসে জমা দিতে পারেন অথবা গ্রাহক যদি চান, তবে ডিজিট্যাক্সের পেশাদার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিট্যাক্সের পদ্ধতিতে এনবিআরের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমেই করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। ফলে গতানুগতিক পদ্ধতিতে তথ্য দাখিল করতে হবে না।’
করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক করদাতার ব্যক্তিগত আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। তিনি ছাড়া আর কেউ এ তথ্য দেখতে পাবেন না। করদাতা তার তথ্য সেইভ করে রেখে যেকোনো সময় তা আবার লকইন করে এডিট করতে পারবেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মানুষের মধ্যে কর দেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। এতো বিপুল সংখ্যক করদাতাকে প্রচলিত পদ্ধতিতে করসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সেবা দিতে সবকিছু অনলাইন করা ও রিটার্ন দাখিল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি করার বিকল্প নেই। এনবিআর অনেক আগেই এ উদ্যোগটি নিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন ফরম পূরণ, দাখিল ও পেমেন্ট সিস্টেম চালু করছি। বেসরকারিভাবে ডিজিট্যাক্সের এগিয়ে আসা কর সেবাকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ আরও সহজতর হবে।’
ঢাকা/শিশির/সনি