ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

এ বছরেই বাংলাদেশে শাখা খুলবে চীনা ব্যাংক 

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৮:১৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বছরেই বাংলাদেশে শাখা খুলবে চীনা ব্যাংক 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীন অন্যতম সহযোগী, এ কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশে চীনের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিসিসিসিআই-ইআরএফ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। 

ইআরএফ সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মিরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ডেপুটি মিশন প্রধান ওয়ান হুয়ালং ও এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিসিআই) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন ইআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

এবার পাঁচ ক্যাটাগরিতে অর্থনীতি বিটের ১৫ জন সাংবাদিক বিসিসিসিআই-ইআরএফ পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ডামি চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্য অতিথিরা।

প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, গত মাসে আমরা তাৎক্ষণিক লেনদেনে (আরটিজিএস) চীনা মুদ্রাকে যুক্ত করেছি। সেই সঙ্গে চীনের ব্যাংক যদি আসে, তাহলে আমাদের আমদানি-রপ্তানিতে আরও একটি মাইলফলক তৈরি হবে। চীনের ডেপুটি মিশন প্রধান কথা দিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যাংক শাখা খুলবে।  

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন এখন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি আছে। আমাদের আম আর সবজি চীনে রপ্তানি করে এ ঘাটতি কমাতে পারব না; দরকার বিনিযোগ। চীনা বিনিয়োগকারীদের বলব, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে ভালো লোকেশন, আছে বন্দর সুবিধা। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও তৈরি হচ্ছে। এসব জোনে তারা বিনিয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, সামনে রমজান, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। চিনি, তেল আমাদের ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। এসব পণ্য আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এনবিআর ট্যাক্স যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এলে রমজানে ভোক্তারা এর সুবিধা পাবেন।

ভারত থেকে নিত্যপণ্য আমদানির প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে, উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী রমজানে ব্যবহার করার মতো চিনি ও পেঁয়াজ যাতে সহজে দেশে আসতে পারে, এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশেষ করে, পেঁয়াজ ও চিনি টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরবরাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক দিন দিন আরো গভীর হবে, উল্লেখ করে চীনের ডেপুটি মিশন প্রধান ওয়ান হুয়ালং বলেন, ইআরএফ’র সদস্যরা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যা তুলে ধরেছেন। এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। আমরা দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করব। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।

হাসনাত/রফিক 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ