পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এ নিয়ে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতন ঘটেছে, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৭২০ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪১.২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.৮৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৭.৭৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৩টি কোম্পানির, কমেছে ২৩৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭২টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৮২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬.০৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৯.৯৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৫৩ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৮৩.৪০ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
সিএসইতে ১০ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী