ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাণিজ্য মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পণ্য

মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাণিজ্য মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পণ্য

বাণিজ্য মেলায় বিসিক প্যাভিলিয়নে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের স্টল

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

 

বিসিকের নিবন্ধিত যেসব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তার এককভাবে মেলায় স্টল বা প্যাভিলিয়ন নেওয়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য একটি বড় প্যাভিলিয়ন নিয়ে ছোট ছোট স্টলে ভাগ কর দিয়েছে বিসিক।

 

বৃহস্পতিবার বিসিকের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এখানে মর্ডান হারবাল গ্রুপ নিয়ে এসেছে তাদের বিভিন্ন ধরনের ঔষধি পণ্য। মেলায় এসেছে গোল্ডেন হ্যান্ডিক্রাফটসের বিভিন্ন পণ্যও।

 

এর মধ্যে রয়েছে- শতরঞ্চি, টেবিল ম্যাট, পাপোশ। রয়েছে পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর, লেডিস চাদর, চামড়ার ব্যাগ, থ্রি-পিস, জুয়েলারি পণ্য, নানা রকমের আচার, মাটির জিনিসপত্র, জুতা, কারুশিল্পের কাগজের, কাপড়ের, চামড়ার তৈরি ঘর সাজানোর নানা পণ্য।

 

এ ছাড়াও শীতল পাটির ব্যাগ, পার্স, পার্টির ব্যাগ, স্কুল ব্যাগ, ম্যানি ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের চামড়াজাত পণ্যসহ শো-পিস, ল্যাম্প।। এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে।

 

এ ছাড়া হারকিউলিস হানি ফার্ম নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের মধু। সরিষা ফুল, কালোজিরা ফুল, সুন্দরবনের মধু এবং মিক্সড ফুলের মধু পাওয়া যাচ্ছে এখানে। দাম ১৪০ থেকে ৭৭০ টাকার মধ্যে।

 

বিসিকের বিপণন বিশ্লেষক মো. ইয়াছিন ভুইয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, অনেক উদ্যোক্তার মেলায় তাদের তৈরি নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনীর ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও প্যাভিলিয়ন নিতে পারেন না। তাই বিসিকের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা।

 

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের শিল্পকে সমৃদ্ধ করা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শিল্প উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করা।

 

তবে এবার হরতাল-অবরোধে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছে। ক্রেতা-দর্শনার্থী নেই বলে হতাশা দেখা যাচ্ছে তাদের চোখে মুখে।

 

উদ্যোক্তারা জানান, মেলায় মূলত অংশগ্রহণ করা হয় পণ্যের প্রচার, নতুন ক্রেতা সৃষ্টি এবং ব্যবসার জন্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই তিনটির একটিও সম্ভব হয়নি।

 

তারা বলেন, যেসব উদ্যোক্তা এখানে স্টল নিয়েছেন বাণিজ্য মেলার ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পযর্ন্ত তারা লাভের মুখ দেখেননি। এমনকি মেলায় অংশগ্রহণ করতে যে খরচ হয়েছে সেটিও ওঠানো যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

 

আর এ শঙ্কার মূল কারণ হলো টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি। হরতাল-অবরোধে নতুন কোনো পণ্য মেলায় আনাও যাচ্ছে না এগুলো নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।


 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/মামুন/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়