ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অটিজম শিশুদের মেধাসম্পন্নভাবে গড়ে তুলছে ‘তারা স্পেশাল স্কুল’

রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২০ মে ২০২৩   আপডেট: ১৬:২০, ২১ মে ২০২৩
অটিজম শিশুদের মেধাসম্পন্নভাবে গড়ে তুলছে ‘তারা স্পেশাল স্কুল’

অটিজম আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বুদ্ধি ও মেধায় অন্য সাধারণ শিশুদের থেকে পিছিয়ে থাকে। আর এই বিশেষ শিশুদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফেরানোসহ মেধাসম্পন্ন ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে গড়ে তুলতে গত ৪ বছর ধরে ভূমিকা রাখছে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস-এর ‘তারা স্পেশাল চাইল্ড কেয়ার।’ 

তারা স্পেশাল চাইল্ড কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি ‘তারা স্পেশাল স্কুল’ এর মাধ্যমে বিশেষ শিশুদের (অটিজম শিশু) শিক্ষা প্রদান করছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত করে তুলছে। এছাড়া এই শিশুরা সামাজিক ও পারিবারিকভাবেও যেন কোনোভাবে অবহেলিত না হয় সে ব্যাপারে সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে যাচ্ছে। 

সরেজমিন মিরপুর তারা স্পেশাল চাইল্ড স্কুল ঘুরে দেখা গেছে- এই স্কুলে দুই শিফটে ৫০ জন বিশেষ শিশু অধ্যায়ন করছে। প্রতিজন বিশেষ শিশুর বিপরীতে রয়েছে একজন করে অভিজ্ঞ শিক্ষক। এখানে পরিচালিত হয় অটিজম আক্রান্ত বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রম। বিশেষ শিশুদের অকুপেশন থেরাপি, স্পিস থেরাপি, ডেইলি লিভিং এক্টিভিটি, রিডিং স্কিল, সোস্যাল এক্টিভিটিসহ নানা বিষয়ে বিশেষ শিশুদের শেখানো ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ করা হয়। 

তারা স্পেশাল চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষিকা ফাহমিদা দৌলা জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ও পরিবারিক উদ্যোগে বিশেষ শিশুদের জন্য আমরা এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০১৯ সালে মিরপুর ডিওএইচএস-এর (এভিনিউ-২) ১০ নম্বর সড়কে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে এই স্কুলটি অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য একটি আস্থা ও ভরসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, তারা স্কুলে বিশেষ শিশুদের ৫০টি আসন রয়েছে। প্রতিজন শিশুর বিপরীতে রয়েছেন একজন করে শিক্ষক। প্রতিটি শিশুর জন্য রয়েছে একটি করে পৃথক ক্লাসরুম। দুই শিফটে এখানে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান আছে। স্কুলে অটিজম শিশুদের ডেইলি লিভিং এক্টিভিটি, গ্রুপ এক্টিভিটি, আর্ট ক্লাস, স্টোরি টেলিং, মেডিটেশন, রিডিং স্কিল, স্যোসাল স্কিল, আইইপি প্রোগ্রাম এবং অটিজম আক্রান্ত যেসব শিশুরা কথা বলতে পারে না তাদের জন্য স্পিস থেরাপি ও অকুপেশন থেরাপি দেওয়া হয়। 

স্কুলের কো-অর্ডিনেটর মোস্তাক আহমেদ জানান, বিশেষ শিশুদের জন্য বিশেষায়িত এই স্কুলে ৩ থেকে ১১ বছর বয়সী বিশেষ শিশুরা অধ্যায়ন করছে। তবে অটিজম আক্রান্ত ২১ বছর বয়সী পর্যন্ত বিশেষ শিশুদের ভোকেশনাল ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্কুল থেকে প্রতি বছরই একাধিক শিশু মেধা ও বুদ্ধিতে সক্ষমতা অর্জনের পর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারছে। চলতি বছরও কমপক্ষে ৪ জন শিশু স্বাভাবিক ও সাধারণ শিশুদের সঙ্গে স্কুলে অধ্যায়নের জন্য মেইনস্ট্রিম শিক্ষা ব্যবস্থায় সুযোগ পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়